1. admin@jashorerdarpan.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মানিকগঞ্জ জেলা শাখার কার্যকারী কমিটির কমিটির অনুমোদন যশোর জেলা যুব দল নেতা নাসিম রেজা’কে দৈনিক ফুলতলা প্রতিদিন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক করায় যুবদলের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা বগুড়া আদমদিঘীতে ভবনের কাজ শেষ হয়নি ৫ বছরেওবিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ট্রেনে কাটা  পড়ে অজ্ঞাতনামা এক তরুণের মৃত্যু বগুড়ায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও বজ্রপাত রোধে তাল গাছের চারা রোপণ বগুড়া  সদর থানায় অগ্নিসংযোগ ঘটনার মামলায় তিন জন গ্রেপ্তার  কেশবপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সুধীজনের মতবিনিময় যশোরের কুয়াদায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের ২০২৪ সালের বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা খলিশাখালির মৎস্যঘের জবর দখল ও লুঠপাটের হুমকিতে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে রঙ্গিন ফুল কপির আবাদ করে লাভবান স্কুল শিক্ষক

দৈনিক যশোরের দর্পণ ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ১৮৫ বার পঠিত

নূরুন্নাহার নূর,  তাড়াইল – কিশোরগঞ্জ॥

প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম শাহিন । তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি একজন সফল কৃষকও। রবি মৌশুম এলেই তিনি চিন্তা করেন বিরল জাতীয় কিছু চাষাবাদ করার। এ বছর তিনি ২ হাজার রঙ্গিন ফুল কপি চাষ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার জমিতে হলুদ বেগুনি রংয়ের ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই মানুষ আসছেন। রং বেরংয়ের ফুল কপি চাষ করে অনেক টাকা লাভবান হবেন বলে আশাবাদী কৃষক সহিদুল ইসলাম শাহিন। রঙ্গিন কপি চাষাবাদে লাভবান হওয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন এখানকার কৃষকরা বলছেন কৃষি অফিসার আকলিমা বেগম, ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদা ইউনিয়নের আদর্শপাড়া গ্রামের সহিদুল ইসলাম শাহিন তার ১৭ শতক জমিতে এই প্রথম আবাদ করেছেন হলুদ আর বেগুনী রংয়ের ফুলকপি। ফলন আসা পর্যন্ত খরছ হয়েছে তার মাত্র ১০ হাজার টাকা। চারা রোপনের ৭৫ দিনের মাথায় বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠেছে রঙ্গিন এ ফুলকপি। এ কৃষক এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। যে পরিমান ফুলকপি জমিতে রয়েছে সেগুলো বিক্রি করতে পারবে প্রায় ১ লাখ টাকার মত। সমস্থ খরছ বাদ দিয়ে তার আয় হবে কমপক্ষে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এই কপি চাষে রাসায়নিক সার ও ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার না করায় এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ। এলাকাতে নতুন ফসল হওয়ায় স্বাভাবিক কারণেই এটার চাহিদা অনেক বেশি। এ ফুলকপিগুলো তার জমি থেকেই বেশির ভাগ বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানিয় বাজারগুলোতে বিক্রি করেও পাশর্^বর্তী বিভিন্ন উপজেলার হাট বাজারেও বিক্রি করছেন। আগামীতে এখানকার অনেক কৃষক অন্যান্য সবজির পাশাপাশি বাহারী রংয়ের ফুলকপি চাষ করবেন বলে ইচ্ছা পোষন করছেন। রঙ্গিন ফুল কপির বীজ পাওয়াটা সহজলভ্য হলে আগামীতে এর চাষাবাদা আরো বৃদ্ধি পাবে। ভৈরব উপজেলা কৃষি অফিসার আকলিমা বেগম বলেন, সহিদুল ইসলাম শাহিন একজন শিক্ষক হয়েও তার নিজের জমিতে সব সময় উন্নৎ জাতের কিছু একটা সবজি চাষ করে থাকেন। গত বছর এ জমিতেই তিনি ক্যাপসিকাম চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এ বছরও তিনি প্রথম বারের মত আবাদ করেছেন হলুদ আর বেগুনী রংয়ের ফুল কপি। অন্যান্য ফুল কপির তুলনায় এগুলো কালার ফুল হওয়াতে মানুষের কাছে এটা খুব আকর্ষনী এবং বাজারে এর চাহিদাও খুব বেশি। এ ফুলকপি পুষ্টিগুন মানসম্মত হওয়ায় এখানকার কৃষকরা ফুলকপি চাষাবাদে খুবই আগ্রহী হয়ে উঠছে। আমরা আশা করছি আগামী রবি মৌশুমে এর আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে। হলুদ ও বেগুনী রংয়ের এ ফুলকপিতে ভিটামিন আর ফলিগ এসিড থাকার কারণে এন্টি অক্সিজেনেরও কাজ করে শরীরে এবং এটা খুব পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ। কৃষকদের জন্য দুষ্প্রাপ্য রঙ্গিন ফুল কপির বীজগুলো যদি কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রনোদনা দেয়া হয় তাহলে এ অঞ্চলে রঙ্গিন কপির চাষাবাদে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়বে মিটবে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা এমনটাই মনে করছেন স্থানিয়রা।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক যশোরের দর্পণ
Theme Customized BY LatestNews