মো: লিটন উজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ায় নিয়মবর্হিভূতভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় শ্রমিক সংগঠনের নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক, ট্যাংক লরি, কাভ্যার্ড ভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের” নাম ব্যবহার করা হলেও জোর পূর্বক টাকা আদায় হচ্ছে ওই সংগঠনের আওতাধীন কবুরহাট বল্লভপুর বটতৈলে শাখা অফিস খুলে পণ্য পরিবহনকারী যানবাহন থেকে। কুষ্টিয়ার সদরে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক রাস্তার মোড় থেকে চাঁদাবাজির মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও অজ্ঞাত কারণে নিরব প্রশাসন। আর এসব প্রকাশ্যেই করছেন ওই সংগঠনের শাখা অফিসের নামে গড়ে উঠেছে এই চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট। দেশের পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। যাত্রী অধিকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের কঠোর সমালোচনা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তা-ব্যক্তিদের নানা হুঁশিয়ারির মধ্যেও বিশৃঙ্খল পরিবেশে চলতো খাতটি। কিন্তু এবার সেই চাঁদাবাজি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা। তারা বলছেন, যে করেই হোক পরিবহন খাতের দুর্নাম তারা ঘোচাবেন। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে কবুরহাট,বল্লভপুর, বটতৈল মোড় গুলোতে পাহারা বসিয়ে নিয়মবর্হিভূতভাবে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা হচ্ছে। যে কোন পণ্য পরিবহনে বহন করলেই ২০০ টাকা থেকে ৪৭৫ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পণ্যবাহী যানবাহন থেকে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করা হয়। সে হিসাবে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকার চাঁদা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আরও জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক, ট্যাংক, লরি, কাভ্যার্ড ভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের” সংগঠন পরিচালনার ব্যায় ও সার্ভিস চার্জ বাবদ (রশিদ মূলে) প্রকাশ্যে এই চাঁদাবাজি করা হয় কিন্তু তারপরেও চাঁদা না দিয়ে এই যানবাহন গুলোর পণ্যসহ শহরে প্রবেশ করা ও বেড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। সংগঠনের নাম ব্যবহার করে ওই সংগঠনের কবুরহাট শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন এই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যেসব ব্যক্তি এই সেন্টিগ্রেড করেছেন দোস্তপাড়া গ্রামের মৃতঃ সয়াদোত প্রামানিক ছেলে মোঃ আউব প্রামানিক কবুর হটে সদ্দার পাড়া গ্রামের মোঃ মশিউর রহমান দোস্ত পাড়া গ্রামের মৃতঃ ইয়াকুব আলীর ছেলে মোঃ বাদশা,কবুর হাট-সদ্দার পাড়া গ্রামের মোঃ খালেকের ছেলে মোঃ হিরো দোস্তপাড়া গ্রামের মোঃ মোফাজ্জেল ,ফিরোজ ফকিরসহ কয়েকজন এ কাজে নিয়েজিত। উত্তোলনকৃত টাকা কবুরহাট শাখা অফিসে জমা দেয়া হয়। এদিকে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটলেও অজ্ঞাত কারনে প্রশাসন নিরব। ফলে পণ্যবহনকারী যানবাহনের দরিদ্র চালকগণ অসহায় হয়ে পড়েছেন। এসব টাকা কোথায় কার পেটে যায় তার হিসাব কেউ রাখেনা। আমরা গরীব মানুষ, আমাদের উপর যত অত্যাচার। কুষ্টিয়া জেলা ট্রাক ট্যাংক লড়ী কাভ্যার্ড ভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের কবুরহাট শাখার সাধারণ সম্পাদক বলেন, রোডে চলাচলকারী ট্রাক, ট্যাংক লড়ী, কাভ্যার্ড ভ্যান ও ট্রাক্টরসহ সংগঠনের আওতাধীন যানবাহন থেকে শ্রমিক কল্যানের জন্য তোলা হয়। যারা রোডে ডিউটি করে যানবাহন থেকে তারা হয়তো চা-পান খাওয়ার জন্য কিছু নেয়। তিনি আরও বলেন, বটতৈল, বল্লভপুর মোড় ও কবুরহাট রোডে টাকা তোলা হয় । কুষ্টিয়া মড়েল থানার ওসি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। সরকারি টোল ছাড়া রাস্তায় কোন ধরনের টাকা আদায়ের নিয়ম নেই। দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ চাঁদাবাজির ঘটনা আমাদেরকে কেউ জানায়নি। এরকম কোন নিয়ম নেই। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।