তন্ময় মিত্র বাপী, ব্যুরো প্রধান,কেশবপুর :
যশোরের কেশবপুর কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ’র একটি চৌকস টিম। “বাংলাদেশ পুলিশের শপথ-দেশের মানুষকে রাখবো নিরাপদ, সত্য উদঘাটনে বদ্ধ পরিকর, যশোর জেলা পুলিশ” স্লোগানে জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম (বার) এর তত্ত্বাবধানে ডিবি’র এলআইসি টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৯ মে রাতে অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা কেশবপুর বাজারস্থ সার্বজনীন শ্রী শ্রী কালি মন্দিরে গ্রীল ভেঙ্গে ১৩ ভরি ১ আনার স্বর্ণালংকার, ১৮ ভরি রুপার অলংকার ২২টি শাড়ি চুরি করে নিয়ে যায়। মন্দিরে চুরির ঘটনায় কেশবপুর থানায় একটি চুরির মামলা রেকর্ড করা হয়। যার মামলা নং-০৩ তাং-০৯/০৫/২০২৪ ইং। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম এর নেতৃত্বে একটি টিম গতকাল শনিবার বিকালে যশোর কোতয়ালী থানার উপ-শহর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোর চক্রের ১ সদস্যকে ১টি সীতাহার ও রুপার অলংকারসহ গ্রেফতার করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ করলে কেশবপুর কালি মন্দিরে চুরির ঘটনা স্বীকার করে । পরে তার বাসা থেকে চোরাই ০৪টি শাড়ি কাপড় উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও আসামীর পিসি/পিআর যাচাইয়ে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ও তার সহযোগীরা আন্তঃজেলা গৃহ/দোকান চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা, থানা এলাকায় দোকান, ঘর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চুরি সংঘটন করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ০৬ সদস্যের একটি চোর চক্র কেশবপুর বাজারে সার্বজনীন কালি মন্দিরে চুরি সংঘটন করে। সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে বলে জানা যায়। অন্যান্যদের গ্রেফতারসহ অবশিষ্ট আলামত উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আটককৃত আসামী হলেন, যশোর উপশহর ডি-ব্লকের মাহবুবুল আলম খান’র বাসার ভাড়াটিয়া ও খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার বাবুল মোল্যার ছেলে আসিব মোল্যা ওরফে হাসিব মোল্যা (২৫)। আটককৃত আসামীর নিকট হতে ২ভরি ১০ আনা ওজনের একটি সীতাহার, ৩ভরি ১ আনা ওজনের ০১টি রুপার কোমর বিছা, ৩ভরি ৭ আনা ওজনের ৫টি রূপার নূপুর, ১টি মোবাইল ফোন, ১টি প্লাস (ঘর ভাঙ্গার সরঞ্জাম) উদ্ধার করা হয়।