তন্ময় মিত্র বাপী, ব্যুরো প্রধান,কেশবপুর :
যশোরের কেশবপুরে বোরো ধান খেতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রনজিৎ দাস (৫৫) নামে এক কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৭টায় উপজেলার বায়সা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বায়সা গ্রামের মৃত জীবন কৃষ্ণ দাসের ছেলে রনজিৎ দাস সকালে বায়সা গ্রামের ইউসুফ মোড়লের ছেলে আতিয়ার রহমানের জমিতে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যান। জমিতে পানি দেওয়ার জন্য সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে সুইচ অন করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। ঘণ্টা দেড়েক পর খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সেচ মোটরটি ওই এলাকার শামসুর রহমানের নামে হলেও পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগকে না জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তা আতিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তি ব্যবহার করে আসছে। রনজিৎ দাসের মৃত্যুর পরপরই শামসুর রহমান ও আতিয়ার রহমান কোথায় গেছেন, কেউ বলতে পারছেন না। নিহতের ছেলে বিজয় দাস জানান, আমার বাবা বায়সা গ্রামের আতিয়ার রহমান বোরো ধানের জমিতে কৃষি শ্রমিকের কাজ করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় গত শনিবার সকালে বাবা ওই খেতে কৃষি শ্রমিকের কাজ করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু তাঁর বাবার মৃত্যুর পর সেচ মোটর ও জমির মালিকের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে আতিয়ার রহমান বলেন, নিহত ব্যক্তি তাঁর বোরো ধান খেতে কৃষি শ্রমিকের কাজ করতেন। ওই দিন কিভাবে রনজিৎ দাস মারা গেছে, সেটা তিনি বলতে পারেন না। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ২ কেশবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম শাহীন আহসান জানান, রনজিৎ দাসের মৃত্যুর ঘটনা তাকে কেউ জানায়নি। তদন্ত করে দেখা হবে, ওই সেচ মোটরটি বৈধ নাকি অবৈধভাবে সংযোগ নিয়ে চালানো হচ্ছে। যদি অবৈধভাবে সংযোগ নিয়ে থাকে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেশবপুর থানার এস আই আবুল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
যশোর থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক যশোরের দর্পণ নিয়মিত পড়ুন ও বিজ্ঞাপন দিন
Copyright © 2024 দৈনিক যশোরের দর্পণ. All rights reserved.