1. admin@jashorerdarpan.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মানিকগঞ্জ জেলা শাখার কার্যকারী কমিটির কমিটির অনুমোদন যশোর জেলা যুব দল নেতা নাসিম রেজা’কে দৈনিক ফুলতলা প্রতিদিন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক করায় যুবদলের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা বগুড়া আদমদিঘীতে ভবনের কাজ শেষ হয়নি ৫ বছরেওবিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ট্রেনে কাটা  পড়ে অজ্ঞাতনামা এক তরুণের মৃত্যু বগুড়ায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও বজ্রপাত রোধে তাল গাছের চারা রোপণ বগুড়া  সদর থানায় অগ্নিসংযোগ ঘটনার মামলায় তিন জন গ্রেপ্তার  কেশবপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সুধীজনের মতবিনিময় যশোরের কুয়াদায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের ২০২৪ সালের বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা খলিশাখালির মৎস্যঘের জবর দখল ও লুঠপাটের হুমকিতে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

কেশবপুরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার ওয়ারেশগণের সংবাদ সম্মেলন

দৈনিক যশোরের দর্পণ ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৩৫ বার পঠিত

তন্ময় মিত্র বাপী, ব্যুরো প্রধান,কেশবপুর :

যশোরের কেশবপুরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা দৌলত বিশ্বাসের ওয়ারেশগণ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেশবপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা দৌলত বিশ্বাসের ভাইয়ের ছেলে উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের সিরাজুল ইসলাম রিপন বলেন, ১৯৪৪ সালে কেশবপুর মৌজার হাল ৬৪৫ ও ৬৪৬ দাগে ৩৫ শতক জমির মালিক তারা প্রসাদ ২০৩৪ নং রেজিঃকৃত পাট্টা দলিলমূলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দৌলত বিশ্বাসের পিতা ইব্রাহিম বিশ্বাসের কাছে হস্তান্তরসহ দখল বুঝে দেন। ইব্রাহিম বিশ্বাস উক্ত দলিলমূলে নালিশী ২৭১ নং দাগের ৩৫ শতক জমি ৩ ছেলে গহর আলী, অহর আলী, বাকের আলী ও গহর আলীর ছেলে রেজাউল হককে ওয়ারেশ রেখে মারা যান। তৎকালিন তহশীলদার ইব্রাহিম বিশ্বাসের ওয়ারেশগণকে নালিশী জমি থেকে বেদখল করার ষড়যন্ত্র চালালে তারা কালেক্টরের কাছে আপত্তি দাখিল করেন। ১৯৫৯ সালের ১১ ডিসেম্বর আদেশে নালিশী জমি অধিগ্রহণযোগ্য নয় মর্মে সিদ্ধান্ত দেয়। উপরোক্ত বাকের আলী রায় বর্ণিত ৩০ থেকে ৪০ নং বাদীপক্ষকে এবং রেজাউল হক ১৭ থেকে ২২ নং বাদীপক্ষকে ওয়ারেশ রেখে মারা যান। রায়ে বর্ণিত ১ থেকে ১৭ ও ৩৪ নং বাদীপক্ষ নালিশী জমিতে খরিদা ও ওয়ারেশ সূত্রে স্বত্ত¡বান ও দখলকার হয়ে বসতবাড়ি হিসেবে বসবাস ও দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা বাণিজ্য ও ভাড়া প্রদান করে আসতে থাকে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন পর তফশীল জমি আরএস চুড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশিত হলে দেখা যায়, সরকারি এক নং খতিয়ানে উক্ত জমি রেকর্ড হয়েছে। এরপর ২০০২ সালে কেশবপুর পৌরসভার তৎকালিন মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়ায় আমাদের ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করে দেয়। এরপর আদালতে মামলা করা হয়। দীর্ঘদিন পর গত ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ যশোর সহকারি জজ আদালতের রায় ও ডিগ্রী মোতাবেক মৃত ইব্রাহিম বিশ^াসের ওয়ারিশগণই হাল- ৬৪৫, ৬৪৬ নং দাগের ৩৫ শতকের মধ্যে ১৮ শতক জমির প্রকৃত মালিক বলে বায় প্রদান করেন। এ নিয়ে আমরা দুটি রায় পেয়েছি। রায় পাবার পরই আমরা ওই নালিশী জমির নামপত্তন করার জন্যে সহকারী কমিশনার ভূমির কাছে আবেদন করেছি। বর্তমানে শহীদ পরিবারের ১৭ জন ওয়ারেশই ওই ১৮ শতক জমির প্রকৃত মালিক। সিরাজুল ইসলাম রিপন আরও বলেন, আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হয়েও দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানেরা এ হয়রানিমূলক মামলার খরচ যোগাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যাতে ওই জমির দখল বুঝে পেতে পারি তার জন্য প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দৌলত বিশ্বাসের পরিবারের ওয়ারেশগণ উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক যশোরের দর্পণ
Theme Customized BY LatestNews