সেলিম মাহবুব,সিলেটঃ
ছাতকে একটি সরকারি খাল দখল করে মাটি ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর চত্রেুর বিরুদ্ধে। এতে ওই এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। খাল ভরাট ও দখলের কারনে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ জনগণ।সরকারি কোটি টাকা মুল্যের খালে মাটি ভরাটের ঘটনায় এলাকা চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় সংঘাত-সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। উপজেলা গোবিন্দগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের পুর্ব রামপুর মৌজার সুনামগঞ্জ সিলেট সড়কের পাশে সরকারি নয়ন জুলি খালের অবস্থান। এই খাল দিয়ে প্রাচীন কাল থেকে আশ পাশ এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছে। ধীরে-ধীরে খালটি মরা খালে রূপ নিলে ও পানি নিস্কাশনের ক্ষেত্রে জন সাধারনের কাজে আসছে খালটি। কিন্তু নয়ন জুলি খাল কিছুটা ভরাট হওয়ার সুযোগে একটি স্বার্থান্বেষী মহল প্রায় শত কোটি টাকা মুল্যের সরকারি এই খাল দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে ।খালে মাটি ভরাট করছে তারা। এভাবে মাটি ভরাট হলে গোবিন্দগঞ্জ নুতন বাজার ও আশ পাশ এলাকায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সহ এলাকার লোকজন। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা সরকারি খাল দখল করার সুযোগ নেই বললে ও খালঅটি ভরাট ও দখল হয়ে যাচ্ছে।খালটি ভরাট হলে বর্ষাকালে খালের পশ্চিম দিকে বাজার শত শত বাসা-বাড়ি জলাবদ্ধতার কবলে পড়ার আশংকা রয়েছে। খাল ভরাটের কাজে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে সাধারণ মানুষকে হত্যার হুমকি সহ মামলা মোকদ্দমায় জড়ানোর ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে এ প্রভাবশালী এই চক্রটির বিরুদ্ধে। খাল ভরাটের ঘটনা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে এলাকার মানুষ। এতে এলাকার শান্ত পরিবেশ বেশ অশান্ত হয়ে উঠেছে। এলাকায় বর্তমানে দু’টি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে। সুনামগঞ্জ জেলার প্রবেশদ্বার গোবিন্দগঞ্জ ব্রীজ সংলগ্ন সরকারি ১ নং খতিয়ানভুক্ত খাল শ্রেণীর প্রায় এক একর ১০ শতক ভুমি (নয়ন জুলি খাল)বলে উল্লেখ্য রয়েছে। সাদা ব্রীজ সংলগ্ন এ ভুমিতে প্রস্তাবিত পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য স্থান নির্ধারণ করে স্থানটি পরিদর্শন করেন জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা। এখানে একটি সাইনবোর্ডও টানানো রয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ সাদা ব্রীজ সংলগ্ন (নয়ন জুলি খাল) একদিকে সরকারি সম্পত্তি, অন্যদিকে বাজার সহ আশ পাশ এলাকার পানি নিস্কাশনের একটি প্রধান জলাধার। এ খাল ভরাট হলে এলাকার বৃহত্তর একটি অংশ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হবে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী গোবিন্দগঞ্জ ব্রীজ সংলগ্ন খাল শ্রেনীভুক্ত সরকারি ১ একর ১০ শতক ভুমি লিজ বা বন্দোবস্ত দেয়া সরকারি আইন পরিপন্থি। সিলেট- সুনামগঞ্জ মহাসড়ক ও ভটেরখাল নদীর মিলনস্থল গোবিন্দগঞ্জের সাদা ব্রীজের গোড়ার সরকারি ওই ভুমিতে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য এলাকাবাসীর দাবি জানিয়ে আসছেন। সুনামগঞ্জের প্রবেশদ্বার এবং সিলেট -সুনামগঞ্জের ৪ টি থানার মোহনা ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ওই ভুমিতে প্রস্তাবিত পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন অতিব জরুরি বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন। এতে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কসহ এর আশ পাশ এলাকার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত পুলিশ ক্যাম্প গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখতে পারবে বলে তাদের বিশ্বাস। এ ব্যপারে ছাতক উপজেলা নিবাহী কর্মকতা গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান, উপজেলা পরিষদের কমিটিতে একটি প্রস্তাবে এ ভুমির বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে। সরকারি খালে মাটি ভরাট ও বাজার সংস্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উপজেলা পরিষদ। থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম জানান, মাটি ভরাট নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।