সেলিম মাহবুব,সিলেটঃ
জমিতে ধান কাটার প্রতিবাদ করায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ভাঙ্গাডহর গ্রামের হরেন্দ্র কুমার দাসের ছেলে বাবুল চন্দ্র দাসকে একই গ্রামের একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাসী দুলন মিয়া ও রইছ আলী গংরা লোহার রড ও দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে হাত পা ভেঙ্গে গুরুতর আহত করার ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টায় তাড়ল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডবাসীর ব্যানারে দিরাই উপজেলা সদরের থানা পয়েন্ট এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, সুষেন চন্দ্র দাস, কালীপদ মজুমদার, বাবুল চৌধুরী, মিন্টু দাস, কানাই লাল দাস, সাবেক ইউপি সদস্য কবিন্দ্র চন্দ্র দাস, আব্দুল্লাহ মিয়া, যীশু চন্দ্র দাস, ঝুনু তালুকদার, প্রদীপ পুরকায়স্থ, লিল্টন চন্দ্র দাস, কবিন্দ্র চৌধুরী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারী ভাঙ্গাডহর গ্রামের হরেন্দ্র কুমার দাসের ছেলে ইউপি সদস্য বাবুল চন্দ্র দাসের হাওরে বোরো জমিতে একই গ্রামের মৃত নন্দা উল্ল্যাহ”র ছেলে রইছ আলী ও রইছ আলীর ছেলে সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী দুলন মিয়ার নেতৃত্বে ১০/১২ জন মিলে জমির হালি কেটে নেওয়ার প্রতিবাদ করায় বাবুল চন্দ্র দাসকে কুপিয়ে ও পিঠিয়ে হাত পা ভেঙ্গে গুরুতর আহত করে। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এনে ভর্তি করা হলেও তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাৎক্ষনিক প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় ,তবে বর্তমানে তার অবস্থা গুরুতর বলে বক্তারা মানববন্ধনে জানান। এ ঘটনায় আহত ইউপি সদস্য বাবুল চন্দ্র দাস বাদি হয়ে গত ১ (পহেলা) মার্চ রইছ আলী ও তার ছেলে দুলন মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জন আসামী করে দন্ডবিধির ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬/১১৪ ও ৩৪ ধারায় দিরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ০১। বক্তারা বলেন এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী দুলন মিয়ার অত্যাচার নির্যাতনে গ্রামের অনেক সংখ্যালঘু পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে। সন্ত্রাসী দুলন মিয়ার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা থেকে শুরু করে নারী নির্যাতন মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। অবিলম্বে এইসব সন্ত্রাসী দুলন মিয়া ও তার পিতা রইল আলীসহ অজ্ঞাত আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পুলিশ সুপারের নিকট জোর দাবী জানান। অন্যতায় আগামী দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ও হুশিয়ারী উচ্চারন করেন বক্তারা।