ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় দীর্ঘ ৯ বছর ধরে নানা হয়রানি ও মিথ্যা অভিযোগের শিকার হয়ে সাময়িক বরখাস্ত থাকা মফিজুর রহমান মাস্টার অবশেষে তার প্রধান শিক্ষক পদ ফিরে পেয়েছেন। তিনি আজমপুর ইউনিয়নের বিদ্যাধরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালের এপ্রিলে একটি কুচক্রীমহল তাকে অবৈধ নিয়োগের অভিযোগে বরখাস্ত করে।
দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে, চলতি বছরের গেল মাসে আদালত মফিজুর রহমান মাস্টারের পক্ষে রায় দেন, এবং মঙ্গলবার তিনি পুনরায় প্রধান শিক্ষক হিসেবে তার পদে যোগদান করেন। এই সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, যা একটি উচ্ছ্বসিত পরিবেশ তৈরি করে।
জানা যায়, মফিজুর রহমান বৈধভাবে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন, তবে আওয়ামী লীগ সরকারের একটি গোষ্ঠী তাকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল। বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি ২০১৭ সালে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এখন তার বকেয়া বেতন-ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।
এখন আবার স্কুলের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে নতুন স্বপ্ন বুনছেন মফিজুর রহমান মাস্টার।