দীনেশ চন্দ্র রায়, পাইকগাছা (খুলনা ) প্রতিনিধি।
খুলনার পাইকগাছায় চোখে-মুখে সুপারগ্লু আঠা ও বেঁধে রেখে এক গৃহবধূ (৪৫) কে পাশবিক নির্যাতন, অতঃপর ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রোববার গভীর রাতে উপজেলার রাড়ুলীতে অজ্ঞাত ৪/৫জন ডাকাত দলের সদস্যরা এ ঘটনা ঘটায়। সোমবার ভোররাতেই পরিবারের সদস্যরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেলে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। পাইকগাছার রাড়ুলী রাড়ুলী ইউনিয়নের ষষ্ঠীতলা বাজার সংলগ্ন বোরহানপুর গ্রামে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩ টা থেকে ৪ টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সরেজমিনে ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে কে বা কারা মই দিয়ে ছাদে প্রবেশ করে সিড়ির দরজা শাবল দিয়ে ভেঙে গৃহবধূর বেডরুমে ডোকেন। ওই গৃহবধূর স্বামী ব্যবসার কাজে বাইরে থাকায় তিনি একা বাড়িতে ছিলেন। গৃহবধূকে হাত পা বেঁধে চোখে সুপারগ্লু আঠা লাগিয়ে মুখে টেপ লাগিয়ে রেখে জোরপূর্বক পাশবিক নির্যাতন করেন এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। ঐসময় ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল এবং আনুমানিক ২ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে গৃহবধূর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তার স্বামীকে খবর দেন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।মুঠোফোনে গৃহবধূর স্বামী বলেন, একতলা ছাদের উপরের সিড়ি ঘর খোলা ছিল। আমার স্ত্রীর চোখ ও মুখ সুপারগ্লু আঠা দিয়ে আটকে দেয় ধর্ষকরা। আমার স্ত্রী কথা বলতে পারছে না তাই কয়জন ডাকাত ছিল এখনই বলা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সহকারী পুলিশ সুপার ডি-সার্কেল মোঃ সাইফুল ইসলাম ও পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওবাইদুর রহমান সহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, গৃহবধূকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। ধর্ষণ হয়েছেন কিনা বা সুপারগ্লু দিয়েছে কিনা এখনই বলা যাচ্ছে না। প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায় তদন্ত শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তি যোদ্ধ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন,ঘটনাটি খুবই দুঃখ জনক। খবর শোনা মাত্রই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি আর এ ন্যাক্কার জনক ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।