দীনেশ চন্দ্র রায় খুলনা জেলা প্রতিনিধি :
খুলনার পাইকগাছায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে বসত বাড়িতে হামলা,ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিটের ঘটনায় ৩ জন আহত ও প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি গত সোমবার ভোর রাতে পৌরসদরে পল্লিবিদ্যুৎ পাওয়ার গ্রিড এলাকায়। এ ঘটনায় পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে।আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই খুলনা কে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার সরেজমিনে ও আদালতে মামলা সুত্রে জানাযায়, পৌরসভার গোপালপুর গ্রামের মৃত কোনাই গোলদারের পুত্র আব্দুল মজিদ গোলদার গংরা পৌর সভার শিবেরবাটি মৌজায় সিএস ৬ ও এসএ ৪৫ খতিয়ানে ১০টি দাগ মিলে ৪০ বিঘা জমিতে বংশানুক্রমে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছেন। কিন্ত বর্তমান জরিপে বিআরএস খতিয়ানে ১০টি দাগ মিলে ৪২ শতক জমি উপজেলার গদাইপুর গ্রামের হেদায়েতউল্লাহর নামে রেকর্ড হয়। ইতিমধ্যে উক্ত রেকর্ড সংশোধনের জন্য খুলনা যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা করেছে আব্দুল মজিদ গংরা(যার নং-১০৯/২৩)। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে। এছাড়া তারা একই আদালতে দলিল বাতিলের দাবিতে আরো একটি মামলা করে(যার নং-৩৪/২৩)।যা চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার বাদী আব্দুল মজিদ জানান, ভুলক্রমে ও ভুয়া দলিল তৈরি করে বর্তমান জরিপে হেদায়েতউল্লাহর নামে রেকর্ড হয়। এরই সূত্র ধরে গত সোমবার ভোর রাতে আমাদের শত বছরের ভোগ দখলে থাকা বসতবাড়িতে কাজী হেদায়েতুল্লাহ তার সঙ্গীয় ২৫-৩০ জন বহিরাগত লোকজন নিয়ে আমাদের বসতবাড়িতে হামলা,ভাংচুর,লুটপাট চালায় ও মারপিট করে তিনজন কে আহত করে । এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাজী হেদায়েতুল্লাহ সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২২ জনের নামে আদালতে মামলা করেছে। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই খুলনা কে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে কাজী হেদায়েত উল্লাহ বলেন, আমি ক্রয় সুত্রে ঐ জমির মালিক। এস এ থেকে বর্তমান জরিপ পর্যন্ত আমার নামে রেকর্ড আছে। আমি আমার জমিতে বাঁশ খুটি নিয়ে ঘর বাঁধতে গিয়েছিলাম।