দীনেশ চন্দ্র রায়, খুলনা জেলা প্রতিনিধি:
খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান বলেছেন, এক সময়ের কৃষি অধ্যুষিত পাইকগাছা-কয়রা লবণ পানির আগ্রাসনে বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এক সময় এখানে প্রতিটি বাড়িতে গোলাভরা ধান আর গোয়ালভরা গরু ছিল। কৃষি কাজ করে সবাই সুন্দর জীবন-যাপন করতো। গাছ-পালা এবং পশু-পাখি ও ফল মূলের কোন অভাব ছিল না। চিংড়ি চাষের নামে লবণ পানির অবাধ ব্যবহারের ফলে গত ৪ দশকের ব্যবধানে উপকূলীয় এ জনপদে মানুষের বসবাস অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এখানকার প্রাণ প্রকৃতি হুমকির মুখে পড়েছে। নদ-নদী ও সরকারি খালগুলো ভরাট হয়ে গিয়েছে। খাবার পানির চরম সংকট তৈরী হয়েছে। কাজের অভাবে হাজার হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এলাকা মানুুষ শূন্য হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এখানে কোন মানুষ বসবাস করতে পারবে না। আমরা যেভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছি তেমনি প্রাকৃতিক পরিবেশেই বেঁচে থাকতে চাই। লবণ পানির ক্ষতিকর দিক সংসদে তুলে ধরে সংসদে তুলে ধরেছি। লবণ পানির কোথায় ব্যবহার হবে তা প্রধানমন্ত্রী আইন প্রণয়ন করার মাধ্যমে ব্যবস্থা নিবেন। এলাকা লবণ পানি মুক্ত হোক এটা এখানকার বেশিরভাগ মানুষের চাওয়া। মানুষের দাবী ন্যায় সংগত। এ জন্য চলতি বছর এক ইঞ্চি জায়গা পতিত না রেখে ঘের মালিকরা বাধ্যতামূলক ধান রোপন করার শর্তে চিংড়ি চাষ করতে পারলেও ২০২৫ সাল থেকে পাইকগাছা-কয়রার কোথাও কেউ লবণ পানি উত্তোলন করতে পারবে না। তিনি শনিবার বিকালে পাইকগাছার চারবান্ধা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সোলাদানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগনেতা প্রমথনাথ মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, আওয়ামী লীগনেতা সমীরণ সাধু, শেখ কামরুল হাসান টিপু, আনন্দ মোহন বিশ্বাস, জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম রবি, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, কৃষ্ণপদ মন্ডল, বিমল ঢালী, অধ্যক্ষ শিমুল বিল্লাল বাপ্পি, প্রভাষক আব্দুল ওহাব বাবলু, রেজাউল করিম, রবীন্দ্রনাথ রায়, পঞ্চানন সানা, কুমদ রঞ্জন ঢালী, প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমার সানা, আমিনুর রহমান, এসএম শাহবুদ্দীন শাহীন, সায়েদ আলী কালাই, জাহাঙ্গীর আলম, নজরুল মোল্লা, ময়না বেগম, দীপ্তি চক্রবর্তী, ছাত্রলীগনেতা মৃণাল কান্তি বাছাড়, পার্থপ্রতীম চক্রবর্তী, ফাইমিন সরদার ও রমজান সরদার।