ডেক্স রিপোর্ট :
যশোরের কেশবপুর উপজেলার পাজিয়া সরদারপাড়া শারমিন আক্তার মুন্নি (২৩) নামে এক ছলনাময়ী নারীর প্রেম প্রতারণায় সৌদি প্রবাসী ইমন আত্মহত্যা করেছে। গত মঙ্গলবার সৌদি আরবে অবস্থানকালে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ইমন হোসেন ৪ বছর পূর্বে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরানোর জন্য প্রবাসে পাড়ি জমান। প্রবাসের পাড়ি জমানোর পর ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় শারমিন আক্তার মুন্নির সাথে। পরিচয়ের পর তাদের মত প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত মঙ্গলবার শারমিন আক্তার মুন্নি ইমনকে ফোন কলের মাধ্যমে জানান তার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, এ খবর শুনে ইমন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং মুন্নিকে বিয়ে না করার জন্য অনুরোধ করে। মুন্নির ভাবি মালয়েশিয়া প্রবাসী আবু সাঈদের স্ত্রী নাহার বেগম মোবাইলে ইমনকে বিয়ের বিষয়টি জানান। প্রেমিকাকে হারানোর শোকে সৌদি আরবে অবস্থানরত অবস্থায় ফেসবুক লাইভে এসে তিনি আত্মহত্যা করেন।
ঘটনার অনুসন্ধানকালে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর চান্দেরহাটি গ্রামের হাবিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র ইমন (২৭) মনিরামপুর উপজেলার শেষ কেশবপুর উপজেলার পাজিয়া সরদার পাড়ার আব্দুল আজিজ সরদারের কন্যা শারমিন আক্তার মুন্নির সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই সূত্র ধরে বিগত চার বছর যাবত তার সমস্ত ইনকামের টাকা মুন্নির বিকাশ নাম্বার ০১৯২৮৫০৩৬৯৬ ও ০১৪০৩৬৪৩৪৯৪ (ভাবি) পাঠাতে থাকেন।
গত ০২ জুলাই মুন্নি ও তার ভাবি নাহার বেগম ইমনকে জানাই, তার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এই খবর শুনে ইমন মুন্নি ও তার ভাবীর কাছে আকুতি মিনতি করতে থাকে। মুন্নি ইমনকে তার কিছু করার নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন। এই ঘটনার পর ইমন ফেসবুক লাইভে এসে তার সাথে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন এবং সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ইমনের আত্মহত্যার বিষয়টি মুন্নির পরিবারের কাছে ইমনের বড় ভাই জানালে মুন্নির ভাবি নাহার বেগম ইমনের পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি হুমকি ধামকি প্রদান করতে থাকে এবং মামলা না করতে চাপ প্রয়োগ করেন। ইমনের আত্মহত্যার ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে ইমনের পরিবার জানান।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পরিবারের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন লাশ ফেরত আনার জন্য।