ইমরান হোসেন, কেশবপুর :
যশোরের কেশবপুর উপজেলার ০৮ নং সুফলাকাটি ইউনিয়নের মৃত গোলাম রব্বানি খান এর ছেলে সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলাম তার পৈত্রিক সম্পত্তি ১৩২ নং মৌজা যার আরএস দাগ নং ৬৭৯ এর ০৭ শতক জমির মধ্যে ০৩.৫০ শতক জমি (সামনের পজিশন) পৈত্রিক সূত্রে দীর্ঘদিন যাবত ভোগদখল করে আসছে। বর্তমানে ওই জমি তার চাচা ওয়াজেদ আলী খান, মোঃ আসাদুজ্জামান ও চাচাতো ভাই রফিকুল এবং শফিকুল জোরপূর্বক দখল করে বাঁশের খুটি দিয়ে একটি ঘর নিমার্ন করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, সুফলাকাটি ইউনিয়নের মৃত গোলাম রব্বানি খান এর ছেলে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলাম তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি দীর্ঘদিন যাবত ধরে ভোগ করে আসছে, বর্তমানে ওই জমিতে তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা জোর পূর্বক বাঁশের ঘরনিমার্ণ করছে। এবং তাকে খুন জখমের হুমকী প্রদান করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ওই জমির উপর যায়তে বাধা দেয়। প্রত্যক্ষদশীর্ আহাম্মাদ সরদার জানান, আমি ছোটকাল থেকেই দেখে আসছি মৃত গোলাম রব্বানি খান এবং পৈত্রিকসূত্রে তার ছেলে সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করে আসছে বর্তমানে তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা ওই জমি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে বাঁশের ঘর নিমার্ন করে রেখেছে। ভূক্তভোগী সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে সুফলাকাটি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদকে জানাই তিনি উক্ত বিষয়টি উভয়পক্ষের সাথে মিমাংসার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়। পরবতীর্তে সিরাজুল ইসলাম সুফলাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমান এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান তাৎক্ষনিকভাবে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে নিমার্নিধীন ঘরের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। সিরাজুল ইসলামের চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা চেয়ারম্যানের নির্দেশ না মেনে গ্রাম পুলিশ কে অপমানিত করে বলে আমাদের জমিতে আমরা কাজ করব কারো কোন কথা শুনবো না। এমতাবস্থায় বিষয়টি নিয়ে সুফলাকাটি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে পরামর্শ করে মোঃ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে কেশবপুর ৮নং সুফলাকাটি ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত বীট অফিসার এস আই গোরাচাঁদ সরেজমিনে যেয়ে তদন্ত করে ওই জমির উপরে চলমান নিমার্নাধীন ঘরের কাজ বন্ধ করে দেয় এবং মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় হাজির হতে বলেন।