স্টাফ রিপোর্টার, যশোর :
যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের ভাটপাড়া মাঠে অবস্থিত সেচ প্রকল্পটি মাটি ব্যবসায়ীদের কবলে পড়েছে, যার ছবি তোলার কারনে সাংবাদিকের উপর হামলা ও ক্যামেরা ভাংচুরের চেষ্টা করা হয়েছে।
সোমবার সকালে রামনগর ইউনিয়নের পান্তাপাড়া গ্রামের আকবর মোড়ল পুটে’র ছেলে মাটি ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার (৪০) সেচ প্রকল্পের পাশের জমি থেকে মাটি কাটার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় সেচ প্রকল্পের পরিচালক মেহেদী হাসান হিরুর বাধার সম্মুখীন হন। মাটি কাটার খবর পেয়ে জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, যশোর সেখানে গিয়ে দেখতে পান, তার পৈত্রিক জমির উপর দিয়ে কোন রকম অনুমতি ছাড়াই স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে গাড়ি চলাচলের রাস্তা তৈরি করছে। এসময় তিনি মাটি কাটা কাজে বাধা দিলে মাটি ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার ও সাহা ব্রিক্স’র এস্কেভেটর ড্রাইভার সাংবাদিকের উপর চড়াও হন এবং ভিডিও করার কারনে ক্যামেরা ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। এলাকাবাসী জানান, ভাটপাড়া মাঠের সেচ প্রকল্পটি পাশ্ববর্তী ২০০/২৫০ বিঘা জমিতে সেচ কাজের জন্য পানি সরবরাহ করে থাকে। সেচ প্রকল্পটির পাশ থেকে গভীর করে মাটি কেটে নিলে সেচ প্রকল্পটি হুমকির মুখে পড়বে এবং মাঠে ফসল ফলবে না। এতে করে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। উক্ত সেচ প্রকল্পের পাশ থেকে বিভিন্ন সময় মাটি ব্যবসায়ীরা গরীব কৃষকদের ফুসলিয়ে বা তাদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে মাটি ক্রয় করেন, এমনকি একই জমি থেকে একাধিকবারও মাটি কেটে নিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রশ্ন উঠেছে, ধুরন্ধর এই মাটি ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার’র খুটির জোর কোথায় ? কে বা কার ইন্দনে সে এবং তার স্কেভেটর’র ড্রাইভার সাংবাদিকের উপর চড়াও হন ?
এলাকাবাসীর দাবি, ভাটপাড়া মাঠে অবস্থিত সেচ প্রকল্পটি রক্ষার্থে এবং এলাকার সাধারন মানুষের মুখের আহার যোগান দেওয়ার জন্য হলেও সেচ প্রকল্পটি টিকিয়ে রাখা আবশ্যক। কিন্তু ধুরন্ধর এই সব মাটি ব্যবসায়ীদের কবলে তা রক্ষা করা কতটুকু সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।