যশোর জেলা প্রতিনিধি
যশোর সদর উপজেলার ঘোপ সেন্ট্রাল রোড’র বাসিন্দা হরিপদ দাসের ছেলে মৃণ্ময় কুন্ডু তপুর বিরুদ্ধে মুসলিম সেজে বিয়ের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। বাউফল থানার মকলেস গাজীর মেয়ে ফারিয়া আক্তার বনানী যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় ৫জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখে যশোর সদর উপজেলার সুভাস (হরিপদ) দাস’র ছেলে মৃন্ময় কুন্ডু তপু (৩০) ধর্মান্তরিত নাম মোঃ তপু হোসেন নাম পদবী ব্যবহার করে বাউফল থানার বিবিলাস গাজীবাড়ি এলাকার মকলেছ গাজীর মেয়ে ফারিয়া আক্তার বনানী (২৪) কে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ৫লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহ করেন। বিবাহের পর মৃন্ময় কুন্ডু তপু ওরফে তপু হোসেন ঢাকা নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন সোনাপুর এলাকায় স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। বিবাহের পর থেকে ফারিয়া আক্তার বনানী ও তার পরিবার মৃন্ময় কুন্ডু তপু ওরফে তপু হোসেন’কে বিভিন্ন সময়ে নগদ ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা প্রদান করেন। বিগত কিছুদিন পূর্বে মৃন্ময় কুন্ডু তপু ওরফে তপু হোসেন তার স্ত্রী ফরিয়া আক্তার বনানীকে আরো ৫লক্ষ টাকা প্রদানের জন্য চাপ দিতে থাকে। টাকা না দেওয়ায় ডাক্তার দেখানোর কথা বলে মৃন্ময় কুন্ডু তপু ওরফে তপু হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যান। গত ১৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে যশোর সদরের নীলগঞ্জ তাতিপাড়া এলাকার পুষ্পিতা দে (২২) কে বিবাহ করেন। ২য় বিবাহের খবর পেয়ে ফারিয়া আক্তার বনানী তার স্বামী মৃন্ময় কুন্ডু তপু ওরফে তপু হোসেন’কে খুজতে যশোরে এসে নীলগঞ্জ তাতিপাড়া এলাকায় পুষ্পিতা দে’র বাড়িতে সন্ধান পান। সেখানে তিনি ভরনপোষণ এর দাবি করলে মৃন্ময় কুন্ডু তপু ওরফে তপু হোসেন ফারিয়া আক্তার বনানীকে মারধর করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
ভুক্তভোগী ফারিয়া আক্তার বনানী এ প্রতিবেদককে জানান, মুসলমান হয়ে সে আমাকে বিয়ে করে আমার সাথে দুই বছর সংসার করেছে। বিয়ের পর আমি সন্তান সম্ভাবা হলে মৃন্ময় কুন্ডু তপু ওরফে তপু হোসেন আমাকে ওষুধ খাইয়ে আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়। আমাকে ভরন পোষণ দেয় না। আমার অনুমতি ব্যতিত সে আবার ২য় বিয়ে করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
যশোর থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক যশোরের দর্পণ নিয়মিত পড়ুন ও বিজ্ঞাপন দিন
Copyright © 2024 দৈনিক যশোরের দর্পণ. All rights reserved.