মোঃ রাজু মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার রংপুর
রংপুর নগরীসহ জেলাজুড়ে শুধু বিদেশি ফলই নয়, বাজারে সব দেশি ফলের দামে যেন আগুন লেগেছে। সব ফলের দামই ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ফল যেন এখন বিলাসী পণ্যে রূপ নিয়েছে। এ নিয়ে ক্রেতাসহ সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রংপুর সিটি বাজার, কাচারি বাজার এলাকা ও বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বরসহ পায়রা চত্বর, শাপলা চত্বর, লালবাগ, মর্ডান ও মাহিগঞ্জে থেকে জানা যায়, বাজারে যেসব দেশি ফল পাওয়া যাচ্ছে সবই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বরই বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি, পেয়ারার কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপের কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, আনারসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। রংপুরের বাজারে তুলনামূলক ভারি সফেদা ফলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। চাহিদা বিবেচনায় দাম বেড়েছে বেলেরও। প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগেও ১০০ টাকা ডজন ছিল সবরি কলার। রোজা উপলক্ষ্যে ডজন প্রতি এই কলার দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। ডজন প্রতি ১৫ টাকা বেড়েছে সাগর কলার দামও। খেজুর সবনিম্ন সাড়ে ৩শ থেকে সর্বোচ্চ ১২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য ফলের দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। এছাড়া আরো জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগেও ১৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কমলা রোজার আগের দিন থেকেই বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে। মানভেদে এই কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরেও। রোজার আগে আপেল বিক্রি হতো ১৮০ থেকে ২৫০ টাকায়। রোজার প্রথম দিন থেকে তা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। তরমুজ প্রতিপিস হিসেবে বিক্রি হওয়ার নিয়ম থাকলেও তা এখন বিক্রি হচ্ছে কেজি হিসেবে। প্রতি কেজির দাম ৮০ টাকা। সে হিসাবে ছোট আকারের একেকটি তরমুজের দাম ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। বেড়েছে ডাবের দামও। আকারভেদে প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়।
যশোর থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক যশোরের দর্পণ নিয়মিত পড়ুন ও বিজ্ঞাপন দিন
Copyright © 2024 দৈনিক যশোরের দর্পণ. All rights reserved.