তহিদুল ইসলাম, মণিরামপুর :
রাজশাহীর বগমারায় আলোচিত মণিরামপুরের সন্তান সোহাগ হোসেন হত্যা মামলার আরেক আসামী নওশিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত নওশিদ মরুগ্রাম ডাংগাপাড়া গ্রামের মৃত আফতাব এর ছেলে। বুধবার সন্ধ্যার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাগনদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি প্রতিনিধি দল মরুগ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি তিনি। ধাওয়া করে নওশিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।মামলা সূত্রে জানা যায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে খুন হয় সোহাগ হোসেন (২৬)। নিহত সোহাগ যশোরের মণিরামপুর এলাকার শরিফুল ইসলাম মিস্ত্রীর ছেলে।আসামী আটকের দাবী জানিয়ে মণিরামপুর কলেজের শিক্ষার্থী শিক্ষক, ও পরিজনেরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছিলেন দ্রুত আসামী আটক করার দাবীতে তার পরিবার ।গত (২ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের মরুগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীরা বন্ধুর বাড়ির সামনে সোহাগ হোসেনকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ-ঘটনায় সোহাগের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম সাগর হোসেন বাদী হয়ে গত (৩ ফেব্রুয়ারি) বাগমারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই ঘটনায় ১৯ ফেব্রুয়ারি সোহাগের পিতা বাদী হয়ে রাজশাহীর আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করে।ছাত্র লীগ কর্মী সোহাগ হত্যা মামলার ২৯ নম্বর আসামী ছিল নওশিদ হোসেন। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভয় হয়নি বলে পুলিশ জানায়। গ্রেপ্তারকৃত নওশিদ হোসেনের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগমারা থানার ওসি তদন্ত সবুজ রানা জানায় সোহাগ হত্যা মামলাটি ভালোভাবে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।পলাতক সকল আসামী কেও আটকের অভিযান চলমান রয়েছে। আজ সোহাগ হত্যা মামলার নওশিদ কে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ওই মামলায় এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবিষয়ে মণিরামপুরে সোহাগের পরিবার বাগমারা থানা ইনচার্জ (ওসি)সবুজ রানা কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত সকলের ফাঁসি দাবি করেছেন ছাত্র লীগ কর্মী সোহাগের পরিবার।