মণিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি :
যশোর মণিরামপুর উপজেলা শ্যামকুড় ইউনিয়নের আদালতের রায় অবমাননা করে ক্ষমতা প্রভাব খাটোনোর অভিযোগ। নালিশের জমি ভুল করে বিবাদীর নামে রেকর্ড হয়ে যায়।রেকর্ড সংশোধনী মামলা করলে রেকর্ড কেটে পুনারায় বাদীর নামে রেকর্ড হয়। এ বিষয়ে মোঃ মামুনুর রশিদ (৭৫), পিতা- মোঃ আব্দুস ছামাদ সরদার, সাং- ইমান নগর, থানা-কেশবপুর, জেলা-যশোর আপনার থানায় হাজির হইয়া বিবাদী ১। মোঃ আলতাফ হোসেন সরদার (৭০), পিতা- মৃত বাবর আলী সরদার, ২। মোঃ শরিফুল ইসলাম(৩০), পিতা- মৃত রজব আলী সরদার, ৩। মোঃ ওহিদুজ্জামান(৩০), ৪। মোঃ তহিদুজ্জামান(২৫), উভয় পিতা- মোঃ আলতাপ হোসেন সরদার, সর্ব সাং- ইমান নগর, থানা-কেশবপুর, জেলা-যশোদের বিরুদ্ধে এই মর্মে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, উল্লেখিত বিবাদীরা আমার প্রতিবেশি। মণিরামপুর থানাধীন ২১৪ নং মুজগুন্নী মৌজায় ১৩২১,১৩২০ ১৩১৮ নং দাগে ০৭.৩১ শতক ধানী জমি আমার পিতার নিজ ক্রয়কৃত সম্পত্তি। উক্ত জমি আমি গত ৩৪ বছর যাবৎ ধান চাষ করিয়া আসিতেছি। বিবাদীদের সহিত উক্ত জমি নিয়া গত ০১ বছর পূর্ব হইতে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। যার কারণে বিবাদীরা আমাকে প্রায় মারপিট করিতে আসে এবং জোর পূর্বক জমি দখল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। বিবাদীদের উক্ত বিষয়ে নিষেধ করিলেও বিবাদীরা তাহা মানিয়া নেয় না। যার কারণে আমি বিবাদীদের নামে আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করি। যাহার মামলা নং- ০৮/২৩। উক্ত মামলায় বিবাদীদের জমিতে যাওয়া নিষেধ থাকার সত্ত্বেও গত ইং ২৩/০৪/২৪ তারিখ রাত অনুমান ১২:০০ ঘটিকার সময় বিবাদীরা আমার জমিতে থাকা কাচা ধান জোর পূর্বক ভাবে কাটিয়া বাড়িতে নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আমি বিবাদীদের বাড়িতে যাইয়া উক্ত ধান কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে বিবাদীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে আমরা ধান কাটিয়া নিয়ে আসছি তোর কোন বাপ আছে পারলে তুই কিছু করে দেখাশ বলিয়া বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করিয়া বিবাদীদের বাড়ি থেকে আমাকে তাড়িয়ে দেয়। উক্ত ঘটনার বিষয়ে স্বাক্ষী ১। মোঃ মুজিবর রহমান (৫৫), পিতা- মোঃ আমজাদ হোসেন মোড়ল, সাং- মুজগুন্নী, থানা- মণিরামপুর, জেলা- যশোর, ২। মোছাঃ হাসিনা বেগম (৬৫), স্বামী- মোঃ আব্দুস ছামাদ সরদার, সাং- সাং- ইমান নগর, থানা- কেশবপুর, জেলা-যশোরসহ আরো অনেকেই জানে ও শুনিয়াছে। উক্ত বিষয়টি আমার নিকট আত্মীয় স্বজনের সাথে আলাপ আলোচনা করিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি।