সেলিম মাহবুব, ব্যুরো চীফ, সিলেটঃ
মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মুত্যুর সাথে লড়াই করে চলেছেন সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ঘোলঘর এলাকার হতদরিদ্র পিতা পবণ সরকার ও মাতা পঞ্চমী সরকারের ছেলে দীপ্ত সরকার (১২) । সে সুনামগঞ্জ সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। দীপ্তর পরিবার শহরের ষোলঘর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। তার দরিদ্র পিতা পেশায় ক্ষৌরকার। তিনি সাড়াদিন সেলুনে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে স্ত্রী ও তিন ছেলে সন্তান নিয়ে খুব দুঃখ কষ্টে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। তার তিন ছেলে সন্তানের মাঝে দীপ্ত সরকার (১৩) দ্বিতীয়। গত ২০২১ সালের জানুয়ারীতে ডাক্তারী পরীক্ষা নিরীক্ষায় দীপ্তর শরীরে ধরা পড়ে মরণব্যাধি ক্যান্সার। দীপ্ত মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে অর্থাভাবে মৃত্যুর সাথে পাজ্ঞা লড়ছে। গত তিনবছর ধরে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে সিলেট একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিলে ও কোন উন্নতি না হওয়াতে পরবর্তীতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুইবার ভর্তি হয়ে অস্ত্রোপ্রচার করানো হলে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এতে চিকিৎসা বাবত ব্যয় হয়েছে প্রায় দশলাখ টাকা। এতে দরিদ্র পিতা পবণ সরকার ছেলের চিকিৎসার ব্যয় মিঠাতে গিয়ে করে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু ছেলেটিকে সুস্থ করে তুলতে পারেননি। সে বর্তমানে ঢাকার গ্রীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডাক্তার বলছেন তাকে দ্রæত উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যেতে। অন্যতায় দীপ্তর অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে পারে। তাই শিশুটির দরিদ্র পিতা তার সন্তানটিকে সুস্থ করে তুলতে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যেতে হলে কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। এদিকে এই শিশুটিকে সুস্থ করে তুলতে সুনামগঞ্জ জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি সানজিদা নাসরিন দিনা ডায়না, সাধারন সম্পাদিকা জান্নাত মরিয়মের নেতৃত্বে কমিটির সংগঠনিক সম্পাদিকা মিনা রানী দাস, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদিকা অজন্তা রানী পালসহ নেতৃবৃন্দরা প্রথমেই ছুটে যান সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখতের নিকট। তিনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। এছাড়াও সমাজের বৃত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হয়ে ইতিমধ্যে ৩০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে অসুস্থ ছেলের পিতার পরণ সরকারের হাতে তুলে দেন। এই সমাজে অনেক বৃত্তবান, দানশীল, শিল্পপতি রয়েছেন যারা জীবনভর গরীব অসহায় মানুষের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পাশে দাড়িয়েছেন। তাই এই সমাজে এত বৃত্তবান,দানশীল ও শিল্পপতি থাকার পরও সবার চোখের সামনে দরিদ্র পিতার এই মেধাবী শিশু শিক্ষার্থী দীপ্তর জীবনটা কি অকালে ঝড়ে যাবে,স্বপ্নঁ নিয়ে জন্মগ্রহন করা এই সন্তানটি কি টাকার অভাবে মরণব্যাধি ক্যান্সারের ছোবল থেকে বাচঁতে পারবে না। তার ও তো স্বঁপ্ন ছিল সে একদিন উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে চাকুরী করে দরিদ্র পিতামাতার সংসারে হাল ধরবে। মানবতার ধর্মকে বড় মনে করে আসুন না সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিবেক সম্পন্ন দানশীল ব্যক্তিরা এই অসহায় শিশুটিকে সুস্থ করে তুলতে সাহার্য্যর হাত বাড়িয়ে দেই। সবার আর্থিক সহযোগিতা ফেলে এই শিশুটি উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে নতুন জীবন ফিরে পেতে পারে। তাই দ্রুত সবার সহযোগিতা কামনা করছেন অসুস্থ শিশুটির পিতা পবণ সরকার।বিকাশ নম্বর-০১৭১২-৯৬৮৭৭৭।