যশোরের কেশবপুরে ভোগতী নরেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অতিবৃষ্টিতে দুটি বৃহৎ আকৃতির রেইনট্রি গাছ উপড়ে পড়েছে। গাছের নিচে থাকা বিদ্যালয়ের টয়লেট ভেঙ্গে চুর্ন-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছে শিক্ষিকা ও প্রায় ৩ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার পারভীন বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর অতিবৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের বৃহৎ আকৃতির দুটি রেইন্ট্রি গাছ উপড়ে যায়। এতে বিদ্যালয়ের টয়লেট ভেঙ্গে চুর্ন-বিচুর্ন হয়ে যায়। আমাদের বিদ্যালয়ে ২৫০ জন শিক্ষার্থী আছে। ৫ম শ্রেনীর বড় বড় ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের টয়লেটে যেতে প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। আমরা এর আশু সমাধান কামনা করছি।
সহকারী শিক্ষক নার্গিস আক্তার বলেন, বিদ্যালয় প্রাঙ্গন হতে উপড়ে যাওয়া গাছ দুটি দ্রুত অপসারন করে টয়লেট নির্মাণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তাহলে আমাদের শিক্ষকদের পাশাপাশি ছাত্র – ছাত্রীদের কষ্ট লাঘব হবে। তাছাড়াও আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্র – ছাত্রীর সংখ্যা অনেক। সে তুলনায় আমাদের শ্রেণীকক্ষ নাই। স্থান সংকুলান না হওয়ায় আমাদের বাচ্চাদের মেঝেতে বসিয়ে পাঠদান করাতে হয়। বিদ্যালয়ে টয়লেটের পাশাপাশি নতুন ভবন খুবই প্রয়োজন। সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রার্থনা শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবের জন্য দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও শিক্ষানুরাগী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, গাছ পড়ে টয়লেট ভেঙ্গে যাওয়ার খবর আমি শুনেছি। আমি নিজ উদ্দ্যোগে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি টয়লেট নির্মাণ করে দিব।
এ বিষয়ে সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, কেশবপুর’র নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাছ উপড়ে বিদ্যালয়ের টয়লেট ভেঙ্গে যাওয়ার কথা শুনেছি। প্রধান শিক্ষক গাছ অপসারন করার জন্য আমাদের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন। আমি উক্ত আবেদনে সুপারিশ করে দিয়েছি। যেহুতে টয়লেট নির্মাণের জন্য আমাদের আলাদা কোন ফান্ড নাই। সেহেতু ফান্ড আসলে আমরা টয়লেট নির্মান করে দিব। তাছাড়াও বিদ্যালয়ের ছাত্র – ছাত্রীর তুলনায় শ্রেণী কক্ষের সংখ্যা খুবই কম। আগামীতে ভবন আসলে আমরা উক্ত বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন তৈরি করে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করবো।