খন্দকার ছদরুজ্জামান, জেলা প্রতিনিধি,নড়াইল :
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা হামারুল গ্ৰামে দীর্ঘদিন ধরে কাশেম খাঁন গ্রুপ ও আজাদ মোল্লা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ সহ কাইজা দাঙ্গা হাঙ্গামা লেগেই আছে। এবং গত কিছুদিন পূর্বে বিল থেকে মাছ ধরা কে কেন্দ্র করে আজাদ মোল্লার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী বাবুল খান কে বিল থেকে ধাওয়া করে বাড়ির পাশে এনে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। বাবুল খান কে জীবনের তরে শেষ করে দেওয়ার জন্য লোহার রড দিয়ে মাথায় ও কোমরে আঘাত করে। মাথায় ৫ টি সেলাই লাগে, এবং কোমরের মেরুদন্ডের হাড় ভেঙে যায়, লিবারে রক্ত জমা হয়ে আছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবুল খান কে ডাক্তার খুলনা ২৫০ শষ্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। বর্তমান বাবুল খান ভীষণ ভাবে অসুস্থ হয়ে কোন রকম জীবন যাপন করছেন বলে জানা যায়। বাজারের পাশে কাশেম খানদের একটি ২য় তলা বাড়ির অনেক গুলো জানালার থাই গ্লাস ভেঙ্গে চুরমার করে দেয় বাদশা শেখ ও তার ছেলে পারভেজ সহ বেশ কিছু উগ্র পন্থী সন্ত্রাসীরা। উক্ত ঘটনাটি নিরসনে লোহাগড়া থানা পুলিশ ২ পক্ষের মধ্যে সোনা মেলা করে মীমাংসা করে দেয়। কিন্তু ওই মিমাংসা আজাদ মোল্লা গ্রুপের মধ্যে পছন্দ না হওয়ায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে আজাদ মোল্লা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কাশেম খান ও তার লোকজনের উপর, রানদা, স্যানদা ও লোহার রড ও লাঠি দিয়ে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে আজাদ মোল্লা ব্যর্থ হয়ে এসে, কাশেম খান গ্রুপকে শায়েস্তা করতে একটি নাটকীয় ভাবে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে, এবং আজাদ মোল্লা ও রাজা মেম্বারের নেতৃত্বে তাদের লোকজন নিয়ে নিজেদের কয় একটি বাড়ি ঘরের টিনের বেড়া ও দোকান ঘর কুপিয়ে ও ভেঙ্গে পুলিশ কে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয় একটি বাড়ি ঘরের টিনের বেড়া ও দোকান ঘর ভাংচুর দেখতে পায় এবং এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার শান্তিপ্রিয় ও সুধী সমাজের মানুষের মধ্যে ২ পক্ষের ঝামেলা নিরসনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের সাথে বসে মিমাংসা করবে বলে জানান। এবং সমাজের সচেতন মহল শান্তিতে বসবাস করতে চান।