ব্যুরো চীফ, সিলেটঃ
সকল ধর্মের মর্মকথা, সবার উপরে মানবতা এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সুনামগঞ্জে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও আদিবাসি সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মেলনে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় হেযবুত তওহীদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে শহরের শহীদ জগতজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে এই সম্প্রীতির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সকল ধর্মের অসংখ্য নারীপূরুষ উপস্থিত ছিলেন। হেযবুত তওহীদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও নারায়নগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি আরিফ উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নাদের বখত। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদুল হাসান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাহাঙ্গীর নগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ওসমান গণি,সুনামগঞ্জ রামকৃষ্ণ আশ্রমের শ্রীমত স্বামী হৃদয়ানন্দ মহারাজ, জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টার্ন ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক এড.বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক এড. গৌরাঙ্গ পদ দাস, জেলা জন্মাষ্টমী পরিষদের সভাপতি এড.রাধাকান্ত সূত্রধর, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি বেলাল উদ্দিন, হবিগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি এড.এম এ মোতালিব, দিরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছবি চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের সাধারন সম্পাদক আহমদ রুমান সরকার, মোঃ ইসমাইল হোসেন, সদস্য বাবুল মিয়া ও হাসান আলী প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেছেন, ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য জাতির পিতার ডাকে এদেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে। তখন কোন জাতপাতের পরিচয় ছিলনা। পরিচয় একটাই ছিল আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য জাতিগোষ্টি আমরা সবাই বাঙ্গালী আমরা সবাই মানুষ । তিনি বলেন ¯্রষ্টা একজন যাকে বিভিন্ন নামে আল্লাহ, ভগবান, ঈশ্বর কিংবা গড বলে সম্বোধন করা হয়ে থাকে। আর হেযবুত তওহীদ তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনার মর্মবাণীগুলো মানুষের মাঝে পৌছে দেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে জাতির পিতার নেতৃত্বে এই বাঙ্গালী জাতি বহুরক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন। বিজয়ী জাতিরা ঘুমিয়ে থাকেন আর পরাজিতরা প্রতিশোধ নিতে সজাগ থাকেন,তাই দেশে ঐ পরাজিত শক্তিরা সাম্প্রদায়িকতা বিনষ্ট করতে কুমিল্লার নাসির নগর থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জাগয়াতে হিন্দুদের বাড়িঘর ও ধর্মীয় উপসনালয়ে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাংচুর করে দেশে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির পায়ঁতারা বার বার করতে চেয়েছে। কাজেই সময় এসেছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল ধর্মের মানুষদের রক্তেভেজা এই অসাম্প্রায়িক বাংলাদেশের মূল স্প্রিট সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার ও নিরাপদে ধর্মকর্ম পালনে বাধাঁদানকারী সাম্প্রদায়িক গোষ্টির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ঐক্যর কোন বিকল্প নেই বলে দাবী করেন তিনি।