সেলিম মাহবুব, ব্যুরো প্রধান, সিলেটঃ
ফুটবল প্রেমের আড়ালে মর্মস্পর্শী জীবনের গল্প ভাঙাচোরা বাড়িতেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইয়ারজান বেগমের। সাফ অনূর্ধ্ব ১৬ ফুটবলে সেরা গোলরক্ষক হয়ে প্রমাণ করেছেন চেষ্টায় স্বপ্ন ছোঁয়া যায়। পঞ্চগড় উপজেলা সদরের হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের খোপড়া বান্দি গ্রামের মেয়ে জাতীয় দলের গোল রক্ষক ইয়ারজান বেগম। অজো পাড়াগাঁয়ে ভাঙাচোরা ঝুপড়ি ঘরে ক্লেশের ধুকধুকি জীবন তার। বাঁশের বেড়ার ফাঁক দিয়ে বাইরে থেকে চোখে লাগে ঘরের ভেতরকার দুঃখী ছবি। দু’দিন আগে ও ছিল তার পরিবারে এমনই চিত্রনাট্য। কিন্তু এখন হয়তো তার সবই বদলে যাবে। রোববার রাতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন শীপে নেপাল জয়ের পর দেশের নারী ফুটবলের মঞ্চে খোদাই হয়ে যায় গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগমের নাম। কিশোরী ইয়ারজান বেগম আচমকা হয়ে গেলেন বাংলাদেশের‘প্রাণ। ইয়ারজান বেগম যেন নারী ফুটবলের এক নয়া বিজ্ঞাপন। কারণ ইয়ারজানই এখন ১৬ বছর বয়সীদের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা গোলরক্ষক। ফুটবল প্রেমের আড়ালে এ জয়িতার আছে মর্মস্পর্শী এক জীবনগল্প। আজ সে গল্পটাই মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। তার ওই ভাঙাচোরা ঘরের দিকে নজর পড়েছে ফুটবল প্রেমিদের ও সরকারি সংস্থা গুলোর।ইয়ারজান বেগমের গ্রামের বাড়ি খোপড়াবান্দিতে এখন আনন্দের উচ্ছাস। মানুষের ভীড়, আসছেন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ৷ কথা বলছেন ইয়ারজান বেগমের পিতা-মাতার সাথে। সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন অনেকেই এ পরিবারের জন্য। র্যাব ১৩ এর অধিনায়ক সহ ব্যাবের একটি দল তার বাড়িতে পৌঁছে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান, ইয়ারজান বেগমের পিতা – মাতাকে। পবিত্র রমজানের জন্য চাল সহ পুরো মাসের ইফতার সামগ্রী ও নগদ অর্থ তুলে দেন তাদের হাতে। তাদের বসবাসের ঝুপড়ি ঘরটি ও তৈরি করে দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।