মোঃ রাজু মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর:
রংপুরের পীরগাছায় মাইকিং করে মাত্র ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে তরমুজ, তবুও মিলছেনা আশানুরূপ ক্রেতা।
শনিবার সরেজমিনে পীরগাছা রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি ফলের দোকানে এ চিত্র দেখা যায়। তরমুজ বিক্রেতা গোলাম মোস্তফা জানান, কম দামে মাল কিনে সীমিত লাভে পাইকারি দরে বিক্রি করছি। পবিত্র রমজান মাসে মানুষ যেন ইফতারে তরমুজ খেতে পারে। প্রথম দিন শুক্রবার কিছু ক্রেতা পাওয়া গেলেও শনিবার তেমন ক্রেতা নেই। অথচ পাশের দোকানদার ৩৫ টাকা দরে তরমুজ বিক্রির চেষ্টা করছে। আমরা ব্যবসায়ীরা চাইলেই সিন্ডিকেট ভাঙ্গা সম্ভব।গোলাম মোস্তফা আরো বলেন, যতদিন তরমুজ পাওয়া যাবে ততদিন এই দামে বিক্রি করা হবে।এ সময় তরমুজ ক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা আজ ২৫ টাকা কেজিতে তরমুজ কিনতে পারছি। এটা খুবই ভালো। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বাজারে সাধারণ মানুষ এখন একটু তরমুজ খেতে পারবে।আরেক ক্রেতা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, কয়দিন আগেও ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা হয়েছে। আজ হঠাৎ মাইকিং এর মাধ্যমে শুনি ২৫ টাকা কেজিতে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। একটু সস্তায় পেয়ে নিজের জন্য ও আমার গরীব এক প্রতিবেশীর জন্য একটা তরমুজ কিনলাম।আরেক ক্রেতা খুরশীদ আলম বলেন, বাজারে যে জিনিসের দাম বাড়ে সেটা যদি আমরা কিছুদিন খাওয়া বন্ধ করি তাহলে আজ যেমন তরমুজ ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে তেমনি অন্যান্য জিনিসের দামও কমবে।তবে পাশ্ববর্তী আরেক বিক্রেতা আল—আমিন অভিযোগ করে বলেন, উনি কম দামে মাল কিনতে পেরেছেন। এজন্য ২৫ টাকা কেজিতে মাইকিং করে বিক্রি করছেন। কিন্তু আমার পাইকারি মাল কেনা পড়ছে ৩৫ টাকা কেজি। এখন আমাদেরকেও বাধ্য হয়ে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। তারপরও আশানুরূপ ক্রেতা পাচ্ছি না। আমার কেজিতে ১০ টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে। এভাবে চললে আমরা পরিবার নিয়ে বাঁচব কিভাবে।