যশোরের কেশবপুর বাহরুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফসিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে কেশবপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র জোবায়ের হাসান বলেন, দক্ষিণবঙ্গের দ্বীনি এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে দেশের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০২১ সালের ২৮ জুন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে ফসিয়ার রহমান যোগদান করেই অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি তৎকালীন ক্ষমতাশীল সরকারের দাপট দেখিয়ে প্রায় এক কোটি সত্তর লাখ টাকা নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। যার একটি টাকাও জেনারেল ফান্ডে জমা হয়নি। ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রদের রাজনীতি করার মিথ্যা অভিযোগ তুলে মাত্র একদিনের নোটিশে ছাত্রদের ছাত্রাবাস ত্যাগ করতে বাধ্য করেন।
তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা শুদ্ধি অভিযান চালায়। এর ধারাবাহিকতায় ফসিয়ার রহমানের কুকৃর্তি, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়োগ বাণিজ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে গত ২০ আগস্ট তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, এ পর্যন্ত পদত্যাগপত্রটি অফিসিয়ালভাবে গ্রহণ করা হয়নি। যার কারণে তিনি এখনো বৈধ অধ্যক্ষ হিসেবে দাবি করছে এবং বেতন বিলে স্বাক্ষর করছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সুনাম অটুট রাখার লক্ষ্যে অধ্যক্ষের পদত্যাগ গ্রহণ করাসহ নিরপেক্ষ তদন্ত টিমের মাধ্যমে অডিটের দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রাকিব হাসান, রাসেল আহমেদ, আব্দুল্লাহ প্রমুখ। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফসিয়ার রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা যে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিয়ে মাদ্রাসার কতিপয় শিক্ষক এ কাজটি করিয়েছেন। সুষ্ঠু তদন্ত হলে সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে। পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেননি বলে তিনি জানান।