সেলিম মাহবুব, সিলেটঃ
আসন্ন ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন আফজাল হোসেন। তিনি ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের পরশপুর গ্রামের মরহুম ওয়ারিছ আলী ও রোকেয়া বেগমের সন্তান। ছাতকে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে আফজাল হোসেন এক সুপরিচিত নাম। যিনি এলাকার আবালবৃদ্ধবনিতা সবার কাছেই সবসময় রয়েছেন শ্রেণীভেদে সমাদৃত। রাজনৈতিক অঙ্গঁনে বিরোধী পক্ষের কাছেও স্বচ্ছ ব্যক্তি হিসেবে আফজল হোসেনের রয়েছে পরিচিতি। ছাত্র জীবনে আফজাল হোসেনের মধ্যে ছিলো নেতৃত্বের আভাস। ৮০’র দশকে ছাত্র জীবনে তিনি ছিলেন একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। মানবতাবাদী আফজাল হোসেন ছাত্র জীবনেও চেষ্টা করেছেন মানুষের কল্যানে নিজেকে ব্রত রাখতে। এলাকায় গঠিত সম্মিলিত সমাজ কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে চেষ্টা করেছেন শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনকল্যাণমুলক কাজের। সেসময় থেকেই তিনি সবার জন্য অনুকরণীয় একজন ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন। শিক্ষানুরাগী আফজাল হোসেন পরশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া একজন সংবাদকর্মী হিসেবেও কাজ করেছেন আফজাল হোসেন। এক সময়ের প্রভাবশালী পত্রিকা দৈনিক খবর’র সিলেট জেলা প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। নিজ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতাকর্মীর কাছে আফজাল হোসেনের গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। পরোপকারী, নির্লোভ ও মার্জিত স্বভাবের নেতা আফজাল হোসেন আওয়ামীলীগের একজন নিষ্ঠাবান কর্মী। মানবতাবাদী মানুষ আফজাল হোসেন স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ৯০’র দশকের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে ছিলো আফজাল হোসেনের অবস্থান। ১৯৮৬ সাল থেকে আজোবধি প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নৌকার পক্ষে সাধ্যমতো রেখেছেন ভুমিকা। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর তত্ব ভিত্তিক বক্তব্য প্রচার প্রচারণায় সুধী মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। টানা ৩ বার ছাতক সমিতি সিলেট’র সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এই সংগঠনের ব্যানারে চলমান সিলেটকে বিভাগ ঘোষণা ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ডে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিপুরণের আন্দোলন, ছাতক পেপার মিল, সিমেন্ট ফ্যাক্টরী বেসরকারী খাতে হস্তান্তরের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ছাতক রেল যোগাযোগ আধুনিকায়নের দাবী ও ছাতকের সুরমা নদীতে সেতু বাস্তবায়নের দাবীসহ ছাতক এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার ন্যায্য বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে সবসময়ই রাজপথ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার ছিলেন। এখনো তার এ সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে পরিচিত ও গ্রহনযোগ্য এ নেতা আসন্ন ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার লক্ষ্যে ছাতক উপজেলাবাসীর দোয়া ও সমর্থন কামনা করেছেন।